The world’s most mysterious book - Stephen Bax

Translator: Reviewer: Palash R. Sanyal

Deep inside Yale University's Beinecke Rare Book and Manuscript Library

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেইনেকে রেয়ার বুক অ্যান্ড ম্যানুস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরির গভীরে

lies the only copy of a 240-page tome.

২৪০ পাতার একটা বইয়ের একমাত্র কপি পড়ে আছে।

Recently carbon dated to around 1420,

কার্বন পরীক্ষা অনুসারে ১৪২০ সনের ঐ বইয়ের

its vellum pages features looping handwriting

প্যাঁচানো হাতের লেখা এবং হাতে আঁকা ছবি

and hand-drawn images seemingly stolen from a dream.

দেখে মনে হয় সেগুলো স্বপ্ন থেকে চুরি করা।

Real and imaginary plants,

বাস্তব ও কাল্পনিক সব গাছপালা,

floating castles,

ভাসমান দুর্গ,

bathing women,

স্নানরত মহিলা,

astrology diagrams,

জ্যোতিষ ছক,

zodiac rings,

রাশি চক্র,

and suns and moons with faces accompany the text.

এবং পাঠ্যানুসারে সূর্য ও চন্দ্রের মুখাবয়ব।

২৪X১৬ সেমি এই বইটিকে বলা হয় ভয়নিচ পান্ডুলিপি।

This 24x16 centimeter book is called the Voynich manuscript,

and its one of history's biggest unsolved mysteries.

এটি বিশ্বের অসমাধিত রহস্যগুলির অন্যতম।

The reason why?

এর কারণ?

No one can figure out what it says.

এর মর্মার্থ কেউই উদ্ধার করতে পারেননি।

The name comes from Wilfrid Voynich,

১৯১২ সালে উইফ্রিড ভয়নিচ নামে এক

a Polish bookseller who came across the document at a Jesuit college

পোলিশ বইবিক্রেতা জেসুইট কলেজ থেকে ওটা

in Italy in 1912.

উদ্ধার করেন, তাঁর নামেই ঐ পান্ডুলিপির নাম।

He was puzzled.

তিনি বিভ্রান্ত হয়েছিলেন।

Who wrote it?

কে লিখেছে এটা?

কোথায় বা তৈরী হয়েছে?

Where was it made?

What do these bizarre words and vibrant drawings represent?

এই বিটকেল শব্দ ও আঁকাগুলোই বা কী বোঝাচ্ছে?

What secrets do its pages contain?

এর পাতায় পাতায় কী রহস্য মোড়া আছে?

He purchased the manuscript from the cash-strapped priest at the college,

নগদ বন্ধক দিয়ে কলেজের যাজকের কাছ থেকে তিনি

and eventually brought it to the U.S.,

ঐ পান্ডুলিপি কিনে আমেরিকায় নিয়ে এলেন,

where experts have continued to puzzle over it for more than a century.

এক শতকের বেশী সময় ধরে পডিতরা আশ্চর্য হলেন,

Cryptologists say the writing has all the characteristics of a real language,

সংকেতবিদরা বলেন, একটা আসল ভাষার যা যা উপাদান লাগে

just one that no one's ever seen before.

তার সবই এখানে মজুত রয়েছে, শুধু আগে কেউ দেখেনি।

What makes it seem real is that in actual languages,

যা দেখে একে আসল ভাষা বলে মনে হয়, তা

letters and groups of letters appear with consistent frequencies,

হল এই যে, আসল ভাষায় বর্ণ যেমন পর্যায়ক্রমে

and the language in the Voynich manuscript

আবর্তিত হয়, এতেও ঠিক তাই। এই কাজ

has patterns you wouldn't find from a random letter generator.

যেমন তেমন বর্ণ উৎপাদকের মধ্যমে খুঁজে বের করা অসম্ভব।

Other than that, we know little more than what we can see.

তা ছাড়া, আমরা যা দেখছি তার তুলনায় একটু বেশিই জানি।

The letters are varied in style and height.

বর্ণগুলোর ধরণ ও উচ্চতা বিভিন্ন।

Some are borrowed from other scripts, but many are unique.

কিছু লিপি ধার করা, আর বেশিরভাগই স্বকীয়।

The taller letters have been named gallows characters.

বড় অক্ষরগুলোর নাম 'গ্যালো ক্যারেক্টারস'।

The manuscript is highly decorated throughout

গোটা পান্ডুলিপিটাই অসাধারণ গোটানো কাগজের

with scroll-like embellishments.

মতো অলংকরণ দ্বারা সজ্জিত।

It appears to be written by two or more hands,

দেখে মনে হয় দুই বা তার বেশি লোকের হাতে লেখা,

with the painting done by yet another party.

আবার ছবিগুলো আরো অন্য লোকের আঁকা।

Over the years, three main theories about the manuscript's text have emerged.

এত বছর ধরে, মূলত তিনটি তত্ত্ব উঠে এসেছে।

The first is that it's written in cypher,

প্রথমটির মতে এটি গোপন সাঙ্কেতিক ভাষায় লেখা

a secret code deliberately designed to hide secret meaning.

যা ইচ্ছাকৃতভাবেই উদ্দ্যেশ্য অর্থ গোপন করা।

The second is that the document is a hoax

দ্বিতীয় মতানুসারে পুরো ব্যাপারটাই বোকা

written in gibberish to make money off a gullible buyer.

খদ্দেরকে ভুল বোঝানোর জন্য গুজব ও ধাপ্পা।

Some speculate the author was a medieval con man.

কেউ কেউ সন্দেহ করেন, লেখক আসলে মধ্যযুগীয়

Others, that it was Voynich himself.

এক ধাপ্পাবাজ, অন্যরা বলে ভয়নিখ নিজেই লেখক।

The third theory is that the manuscript is written in an actual language,

তৃতীয় তত্ত্ব, এটা কোনো আসল ভাষাতেই লেখা

but in an unknown script.

কিন্তু এক অজানা লিপিতে।

Perhaps medieval scholars were attempting to create an alphabet

হয়তো মধ্যযুগীয় পন্ডিতরা এমন এক বর্ণমালা

for a language that was spoken but not yet written.

তৈরী করছিলেন যাতে কথা বলা হত, লেখা হত না।

In that case, the Voynich manuscript might be like the rongorongo script

সেক্ষেত্রে ভয়নিখ পান্ডুলিপি হয়তো ইষ্টার

invented on Easter Island,

দ্বীপে আবিষ্কৃত রঙ্গরঙ্গ লিপির মতো,

now unreadable after the culture that made it collapsed.

সভ্যতার বিলোপের সাথে লিপিও বিলুপ্ত হয়েছে।

এখনো কেউ ভয়নিখ পান্ডুলিপি পড়তে পারেনি বলে

Though no one can read the Voynich manuscript,

that hasn't stopped people from guessing what it might say.

মানুষের আন্দাজ কিন্তু থেমে থাকেনি।

Those who believe the manuscript was an attempt to create

যাঁরা মনে করেন যে এটা এক নতুন লিখিত ভাষা

a new form of written language

সৃষ্টির প্রচেষ্টা তাঁদের কেউ কেউ ভাবেন,

speculate that it might be an encyclopedia

এটা তাদের সংস্কৃতির অর্জিত জ্ঞানের

containing the knowledge of the culture that produced it.

ভান্ডার বিশ্বকোষও হতে পারে।

Others believe it was written by the 13th century philosopher Roger Bacon,

অন্যরা মনে করেন, এটি ত্রয়োদশ শতাব্দীর দার্শনিক রজার বেকনের লেখা,

who attempted to understand the universal laws of grammar,

যিনি চিরন্তন ব্যকরণের নিয়ম বুঝতে চেয়েছিলেন

or in the 16th century by the Elizabethan mystic John Dee,

বা, ষোড়শ শতাব্দীর জন ডি

who practiced alchemy and divination.

যিনি অপরসায়ন ও ভবিষ্যৎ-কথন অভ্যাস করতেন।

More fringe theories that the book was written by a coven of Italian witches,

আরও মুচমুচে তত্ত্ব অনুসারে, ঐ বইয়ের লেখক একদল ইতালীয় ডাইনি

or even by Martians.

এমন কি মঙ্গলের বাসিন্দা পর্যন্ত

After 100 years of frustration,

একশ বছরের হতাশার পর বিজ্ঞানীরা কিছুদিন

scientists have recently shed a little light on the mystery.

আগে এই রহস্যে একটু আলোকপাত করতে পেরেছেন।

The first breakthrough was the carbon dating.

প্রথম ধাপ ছিল কার্বন ডেটিং পদ্ধতি।

Also, contemporary historians have traced the provenance of the manuscript

সমসাময়িক ঐতিহাসিকরা এর উৎপত্তিরও সন্ধান

back through Rome and Prague to as early as 1612,

করেছেন। ১৬১২ সালের রোম এবং প্রাগে সম্ভবত

when it was perhaps passed from Holy Roman Emperor Rudolf II

পবিত্র রোমান সম্রাট দ্বিতীয় রুডোলফ তাঁর

to his physician, Jacobus Sinapius.

চিকিৎসক জ্যাকোবাস সিনাপিয়াসকে এটি দেন।

In addition to these historical breakthroughs,

এইসব ঐতিহাসিক আবিষ্কারের পাশাপাশি

linguistic researchers recently proposed the provisional identification

ভাষাতাত্ত্বিকরাও সম্প্রতি কিছু অংশ ও শব্দ

of a few of the manuscript's words.

চিহ্নিত করতে পেরেছেন।

Could the letters beside these seven stars spell Tauran,

এই সাতটা তারার পাশের বর্ণগুলো কি 'টাউরান',

a name for Taurus,

যা 'টউরাস' বা 'বৃষরাশির' বানান ?

a constellation that includes the seven stars called the Pleiades?

এক ঋক্ষ যা কৃত্তিকা নামের সাতটি তারার ঝাঁক

Could this word be Centaurun for the Centaurea plant in the picture?

‘সেন্টাউরন’ শব্দটি কি ছবির সেন্টাউরিয়া গাছ

Perhaps, but progress is slow.

হয়তো! যাই হোক, উন্নতি খুবই ধীর গতির।

If we can crack its code, what might we find?

যদি আমরা এই সংকেত ভেদ করতে পারি, কি জানব?

The dream journal of a 15th-century illustrator?

পঞ্চদশ শতাব্দীর শিল্পীর স্বপ্নপঞ্জিকা?

A bunch of nonsense?

একগাদা অর্থহীন জঞ্জাল?

Or the lost knowledge of a forgotten culture?

নাকি হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার বিস্মৃত বিদ্যা?

What do you think it is?

আপনি কি মনে করেন?